জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নির্বাচনে আ.লীগ হেরেছে আ.লীগের বিদ্রোহীদের কাছে। দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতি, প্রার্থীদের ব্যক্তি ইমেজ সংকটসহ বিভিন্ন কারণে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
নির্বাচনে ১নং কলকলিয়া ইউনিয়নে ব্যক্তি ইমেজে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল হাসিম নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউনিয়নে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী দ্বীপক কান্তি দিপাল শুধু দলীয় ইমেজ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল প্রার্থী’ হওয়ার কারণে এ ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হয় বলে স্থানীয়রা জানান। তারা জানান, দলীয় প্রার্থী বাছাইকালে দলের হেভিওয়েট প্রার্থী আব্দুল হাসিম ও আলাল হোসেন রানাকে বাদ দিয়ে তাঁদের তুলনায় দুর্বল প্রার্থী দিপালকে দলীয়ভাবে মনোনীত করায় নৌকার এমন ভরাডুবি হয়েছে।
২নং পাটলি ইউনিয়নে ব্যক্তি ইমেজে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউনিয়নে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী আংগুর মিয়া ব্যক্তি ও দলীয় ইমেজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া দলীয় প্রার্থী বাছাইকালে দলের হেভিওয়েট প্রার্থী সিরাজুল হককে বাদ দিয়ে আংগুর মিয়াকে মনোনীত করায় নৌকার ভরাডুবি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আরশ মিয়া ব্যক্তি ও দলীয় ইমেজ নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউনিয়নে নিকটতম প্রার্থী হারুন রাশীদ ব্যক্তি ইমেজ ও আঞ্চলিকতার জোরে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও মাত্র ৯০ ভোটে পরাজিত হন। সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়ব মিয়া কামালী ব্যক্তি ইমেজ নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাসান, ব্যক্তি ও দলীয় ইমেজে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পরাজিত হয়েছেন।
৮নং আশারকান্দি ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ আবু ঈমানী দলীয় ইমেজে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল আহাদ মদরিছ এবং আইয়ূব খান হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
৯নং পাইলগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মখলুছ মিয়া ব্যক্তি ইমেজে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী মঞ্জুর আলী আফজল হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নৌকার মাঝি বর্তমান চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন মূল লড়াইয়ে আসতে পারেননি। দলের হেভিওয়েট প্রার্থী মঞ্জুর আলী আফজলকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত ব্যক্তি আপ্তাব উদ্দিনকে দলীয়ভাবে মনোনীত করায় এখানে নৌকার করুণ ভরাডুবি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।