স্টাফ রিপোর্টার ::
মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সাথে মতবিনিময়কালে হাওরে ফসলহানির জন্য দুর্নীতিবাজ পাউবো কর্মকর্তা, পিআইসি ও ঠিকাদারদের দায়ী করেন সুধীজন। তারা দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘আজ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। তিনি আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতিবাজ পাউবো’র কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও পিআইসি’র লোকজনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রত্যাহার করা মানে দুর্নীতিকে ঢেকে দেয়া। ঠিকাদারের পেছনে যাদের কালো হাত আছে তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, বাজারে চোর ধরা পড়লে, চোরও বলে চোর চোর। আমরা ভূতের মুখে রাম রাম শুনতে চাই না।’ কৃষকদের জীবন-জীবিকার জন্য জলমহাল উন্মুক্ত রাখার কথা উল্লেখ করে এমপি মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘কৃষকের ঋণ মওকুফসহ সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাছ, পাথর, ধান সুনামগঞ্জের সম্পদ ছিল। এখন পাথরও নেই, এবার ধানও নেই। এখন নতুন করে মাছও মরে যাচ্ছে। সারা জেলায় ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা জরুরি প্রয়োজন।’
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, দুর্নীতি অনেক হয়েছে আর না। আমরা কেউ না কেউ এসব দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের সহযোগিতা করছি। এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পেছনে না সামনে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, বাঁধ ভেঙে যখন ফসল তলিয়ে যায় তখন কৃষকরাই নিজের বাঁেধ কাজ করেছেন আমিও মাটি ফেলেছি। তখন তার বক্তব্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামও বলেন আমি মাটি ফেলেছি।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু বলেন, হাওরাঞ্চল নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। এসময় তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দিয়ে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ যেন তাদের দিয়ে না করানো হয় এই দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি যেসব ঠিকাদারদের কারণে সুনামগঞ্জের ফসলহানি হয়েছে এসব ঠিকাদারদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট তার বক্তব্যে কাজ না করে যেসব ঠিকাদার বিল তুলে নিয়ে গেছে তাদের গ্রেফতার করার জন্য দাবি জানান। এছাড়াও তিনি পিআইসিদের শাস্তি দাবি করেন।