স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান কেনা শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে প্রতি মণ ধান ৯২০টাকা দরে কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ শুরু করে মল্লিকপুর এলএসডি। ধান সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নঈম মোহাম্মদ সফিউল আলম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিনয় কুমার দে, মল্লিকপুর এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ধীরাজ নন্দী চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু প্রমুখ।
এসময় আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষক মমতাজ বেগম সেলিনার কাছ থেকে ৫০মণ ধান ক্রয় করে মল্লিকপুর এলএসডি। জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ৫০মণ ধানের বিনিময়ে এলএসডি কর্তৃক সরবরাহকৃত মূল্য গ্রহণ করেন কৃষক মমতাজ বেগম সেলিনা।
এরপর ধান ক্রয়ের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন জেলা প্রশাসক। তিনি মল্লিকপুর এলএসডি পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে সহকারি কমিশনারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার কেজি ধান ক্রয় করা হবে বলে জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ। যার প্রতিকেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩টাকা। ধান বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেক কৃষকের কৃষিকার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, মল্লিকপুর এলএসডিতে আনুষ্ঠানিক ধান ক্রয় শুরু হওয়ার পর থেকে এলএসডির এলাকাধীন সড়কের উপর চলছে ধান শুকানো ও বস্তা বোঝাই করার ধুম। বিভিন্ন এলাকা থেকে বুধবার কৃষকরা তাঁদের ধান বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করে এলএসডি।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নঈম মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, ‘আদ্রতার বিষয়টি খেয়াল রেখে উজ্জ্বল সোনালী বর্ণের ধান আমরা কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ক্রয় শুরু করেছি। প্রতিকেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩টাকা এবং প্রতি মণ ধান ৯২০টাকা। আমরা বিভিন্ন এলাকায় সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। কৃষকরা তাদের ধান নিয়ে এলএসডিতে এসেছেন। আমরা যাচাই-বাছাই শেষে প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার কেজি ধান ক্রয় করছি।’