ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মপাশা উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে দুইজন নারী ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পদে এ উপজেলায় এতোদিন পুরুষরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছিলেন। এবারই প্রথমবারের মতো দুইজন নারী এ পদে ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়ায় ভোটারদের মধ্যে নতুন আমেজ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের ৯০টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৩৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে দু’জন নারী রয়েছেন। উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ছয়জন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ওই ওয়ার্ডে থেকে সাধারণ সদস্য পদে ভোটযুদ্ধে মাঠে নেমেছেন মোছা. স্বপ্না আক্তার। একই ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন মোছা. ফিরোজা। এ উপজেলায় ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৫০হাজার ২১৫জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৫হাজার ২১৫জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ৭৪হাজার ৯০০জন।
৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী মোছা. ফিরোজা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হয়ে পরিষদে গিয়ে সঠিক মূল্যায়ন পাওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদেরকে আঁড় চোখে দেখা হয়। দীর্ঘ বছর ধরে চলতে থাকা এ ধারাবাহিকতা ভাঙতে ও নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই আমি নারী হয়ে সাধারণ সদস্য পদে ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছি।
এ বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী মোছা.স্বপ্না আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মানবাধিকার কর্মী ও নারীনেত্রী মনিকা বেগম বলেন, শহরের তুলনায় গ্রামের নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। ওই দুই নারী প্রার্থী সাধারণ সদস্য পদে অংশ নিয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমি তাঁদের স্বাগত জানাই।
সেলবরষ ও পাইকুরাটি ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবিএম সাইফুজ্জামান সাধারণ সদস্য পদে এই দুই নারী প্রার্থীর ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগামী ৪জুন এ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।