মাহমুদুর রহমান তারেক ::
বহিষ্কারের ভয় দেখিয়েও কাজ হচ্ছে না সুনামগঞ্জের ৭টি ইউনিয়নের আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের। উল্টো তাঁরা ‘টাকা’ দিয়ে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। আগামী ২৮ মে ৩টি ও ৪ জুন ৪টি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে জেলা নেতৃবৃন্দ অনেকটাই নীরব।
আগামী ২৮ মে জেলার দিরাই, শাল্লা ও জগন্নাথপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই তিনটি উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে। অনেক ইউনিয়নে দল মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে নির্বাচনী হিসাব-নিকাশে বিদ্রোহীরা এগিয়ে আছেন। কিছু জায়গায় দলীয় নেতাকর্মীরাও বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করছেন। একারণে শেষ মুহূর্তেও অনেকটা বেকায়দায় রয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।
জগদল ইউনিয়নের বিদ্রোহী শিবলী বেগ জানান, আনারস প্রতীকে ইউনিয়নে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি বিজয়ী হব।
জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী আব্দুল হাশিম বলেন, যোগ্য লোককে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি। আমি সব সময়ই এলাকার মানুষের সুখে-দুখে পাশে আছি। বিপুল ভোটে ইনশাল্লাহ বিজয়ী হব।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায়ও একই অবস্থায়। ইউনিয়নগুলোতে বিদ্রোহীদের ছড়াছড়ি। বিদ্রোহীরা কারো কথা শুনছেন না। উল্টো তারা দলীয় মনোনয়ন পাওয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ফতেপুর ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রনজিত চৌধুরী রাজন বলেন, আমি মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়টি কেন্দ্রকে জানিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আগে তাদের (মনোনয়নবাণিজ্যকারীদের) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। আমার ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীরা আমার সাথে আছেন, তাঁরা আমাকেই ভোট দিবেন।
বাদাঘাট ইউনিয়নের মুর্শেদ আলম বলেন, মনোনয়ন না পাওয়া নেতাকর্মী ও স্থানীয় মানুষের চাপে নির্বাচন করছি। আশা করছি, এলাকার মানুষ আমাকে নিরাশ করবেন না। আর বহিষ্কার করবে কেন, আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছি।
তাহিরপুর সদর উপজেলার স্বপন কুমার দাস বলেন, শেষ মুহূর্তে আমার মনোনয়ন বাদ দেয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করছি। নেতাকর্মীরা কাজ করছেন আমার পক্ষে।
জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, দলের মনোনীত প্রার্থী ও নৌকার বিরোধিতা করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এবং তাদের পক্ষে যারা নির্বাচনী প্রচারণা করছেন তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন ও যারা নেতাকর্মীদের ধোঁকা দিচ্ছেন, তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, নৌকার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।