শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য এখনই বন্ধ করতে হবে। আমরা সকলেই জানি যে, শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা। শিক্ষকদের সবাই শ্রদ্ধা করেন। কারণ তাঁরা মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু বর্তমানে আমরা লক্ষ করছি কিছু শিক্ষকের নৈতিক স্খলন ঘটেছে। নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে অর্থ উপার্জনে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। দেশের ছোট-বড় শহর থেকে শুরু করে গ্রামে-গঞ্জে চলছে কোচিং বাণিজ্য। আর সেই সব কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত হয়েছেন অসাধু শিক্ষকরা।
অভিযোগ রয়েছে, তারা ক্লাসে ভালো করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান না। বরং তারা শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাসে পড়ার জন্য উৎসাহিত করেন। শুধু তাই নয়, অনেকে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করেন কোচিং সেন্টারে ক্লাস করতে। শিক্ষকরা ক্লাসে ভালো পড়ান না, কিন্তু কোচিংয়ে জটিল বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের ভালো করে বুঝিয়ে দেন। কোচিং বাণিজ্য থেকে মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন অনেকে। নামী-দামী স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা প্রাইভেট কোচিংয়ের রমরমা ব্যবসা করছেন। যা কখনোই কাম্য নয়। এ সব নামী-দামী স্কুল-কলেজের টিউশন ফি যেমন বেশি, কোচিং ফিও তেমনি বেশি। অভিভাবকগণ তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। সরকার প্রাইভেট কোচিং নিষিদ্ধ করলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। শিক্ষকরা যাতে কোচিং বাণিজ্য জড়িয়ে না পড়েন সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।