শামসুল কাদির মিছবাহ ::
“জীবনে যাঁরা কিংবদন্তী মরণের পরেও তাঁরা কিংবদন্তী। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মনোয়ার বখ্ত নেক ছিলেন তেমনি একজন কিংবদন্তী মানুষ। তিনি ছিলেন অসম সাহসী। তিনি সহজেই মানুষের মন জয় করতে পারতেন। নেক ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও জনদরদী নেতা।”
গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে মনোয়ার বখ্ত নেক স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা, কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুরুল মোমেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক রওনক বখতের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, মনোয়ার বখত নেক আপাদমস্তক একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন গরিবের বন্ধু। তাঁর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি অগ্নিদগ্ধ মানুষকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজেই দগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি আমৃত্যু জনকল্যাণে কাজ করে গেছেন। সজ্জন রাজনীতিক ও জনদরদী এই মানুষটি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধেও সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। স্মরণ সভায় মনোয়ার বখ্ত নেক-এর নামে পৌর এলাকার যে কোনো একটি সড়কের নামকরণ করার দাবি জানান বক্তারা।
সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু, শাহগীর বখত ফারুক, সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুল মজিদ, আ.ত.ম সালেহ, অ্যাড. স্বপন কুমার দেব, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নৃপেশ তালুকদার নানু, মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ, অ্যাড. গোলাম মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, বিকাশ রঞ্জন, আনোয়ার বখত সুবাস, সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন ও প্রয়াত নেক’র প্রথম সন্তান আসওয়াদ বখত তালহা।
নেক তনয় আসওয়াদ বখত তালহা তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার বাবা নেই। আপনারা আমার প্রয়াত বাবা’র সহযোদ্ধা, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ী। আপনাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আমি সুদূর আমেরিকা থেকে এসেছি। আমি আপনাদের মুখ থেকে আমার প্রয়াত পিতার স্মৃতিকথা শুনতে চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি বাবা’র মতো মানুষের সেবায় কাজ করে যেতে পারি। মনোয়ার বখত নেক ট্রাস্ট গঠন করার ঘোষণা দেন নেক’র পুত্র আসওয়াদ বখত তালহা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মান্নারগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, পৌর কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লোহ, কাউন্সিলর শেলী চৌহান ময়না, ইয়াকুব বখত, প্রয়াত মনোয়ার বখত নেক’র বন্ধু-সহযোদ্ধা ও শুভাকাক্সক্ষীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন।
সভায় কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান। গীতাপাঠ করেন সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন।