স্টাফ রিপোর্টার ::
তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নানা নাটকীয়তা হয়েছে জামালগঞ্জের ফেনারবাক ইউনিয়নে। তৃণমূল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বদলে কেন্দ্র থেকে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন বাগিয়ে নেন এক প্রার্থী। ফলে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে আরো তিন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়ে এখন ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা। ঠিক এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে স্থানীয় বিএনপি। তারা কৌশলে বিএনপি ও জামায়াতের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে এনে এখন একক প্রার্থীতা নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অন্য তিন বিদ্রোহী প্রার্থীকেই সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
জানা যায়, গত ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীক পেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ইফতেকার চৌধুরী এবং জামায়াত প্রার্থী সিরাজুল হক অলি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জুলফিকার আলী চৌধুরী’র নিজ গ্রাম ফেনারবাকের বিদ্রোহী প্রার্থী ইফতেকার চৌধুরী শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। একই সঙ্গে জেলা জামায়াত নেতা সিরাজুল হক অলিও বিএনপি প্রার্থীকে মৌন সমর্থন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে এখন মাঠে একা ভারমুক্ত প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি প্রার্থী জুলফিকার চৌধুরী। পথের ‘কাঁটা’ সরে যাওয়ায় তিনি এখন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা। জানা গেছে, দুই দলের একাধিক বিদ্রোহী থাকায় জয়-পরাজয়ের চরম অনিশ্চয়তা থেকেই বিএনপি কৌশলে তাদের বিদ্রোহীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহীদের দমন করতে ব্যর্থ হওয়ায় দলীয় প্রার্থী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
নানা নাটকীয়তা শেষে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া করুণা সিন্ধু তালুকদার দলীয় হেভিওয়েট তিন বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাধন চন্দ্র তালুকদার, সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান এবং নূরু মিয়া মেম্বার। জানা গেছে, বিদ্রোহী তিন প্রার্থীই নিজ নিজ এলাকার ভোট অনেকটা ব্লক করে আছেন। তাদের পক্ষেই ভোট পড়বে বলে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা মনে করেন।