স্টাফ রিপোর্টার ::
থানায় অভিযোগ দেয়ায় প্রতিপক্ষরা ক্ষুব্ধ হয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। দু’দফা হামলায় ৬ নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। প্রথম দফা হামলার ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের গৌরারং গ্রামে। এতে গুরুতর আহত দু’জন নারীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর ৪জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, গৌরারং গ্রামের প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল একই গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের। এ বিষয়ে গতকাল রোববার সকালে সংখ্যালঘু পরিবারের প্রণয় দাস বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষরা রাত ৮টার দিকে সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িতে লাঠি-সোঁটা নিয়ে প্রথম দফা হামলা চালায়। এই হামলায় গ্রামের নেহার, আব্দুল আউয়াল, মিজানুর রহমান শিবলী, নূর নবীসহ আরো কয়েকজন ছিলেন বলে আহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন। হামলায় আহত হন দেবপ্রসাদ দাসের স্ত্রী দোলন রানী দাস (৪০), পরিতোষ দাসের স্ত্রী দিপালী (৩০), প্রণয় দাসের স্ত্রী শিপ্রা রানী দাস (৪০), বিনয় দাসের স্ত্রী রাণী (৩০), প্রমোদ দাসের স্ত্রী ইলা রানী দাস (৩৫), প্রীতেশ দাসের স্ত্রী কাকলী রানী দাস (৩৫)। এর মধ্যে গুরুতর আহত দু’জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে রোববার রাত ১১টার দিকে একই ব্যক্তিরা দ্বিতীয় দফায় ওই সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে বিনয় চন্দ্র দাস (৩০) আহত হন। তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্থানীয় শালিসকারী হোসেন আলী, স্মৃতিরত্ন দাসসহ গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও কয়েকজন সদস্য জানান, সংখ্যালঘু পরিবারটির বাড়ির সামনের জায়গা দখলমুক্ত করতে আমরা তিনবার শালিস বৈঠকে বসেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো সুরাহা হয়নি। সংখ্যালঘু পরিবার থানায় অভিযোগ দেয়ায় প্রতিপক্ষরা ক্ষুব্ধ হয়ে দু’দফা হামলা চালিয়েছে। এতে ৭ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, রোববার রাতে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই লুৎফুর-এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানাগেছে।