স্টাফ রিপোর্টার ::
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা থাকার পরও সুনামগঞ্জে আবাসিক হোটেলে বর্ডারদের ছবি তোলা হয় না। কোন হোটেলেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্দেশিত নিয়মগুলো অনুসরণ করে না। ফলে আবাসিক হোটেলে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে চরম বেগ পেতে হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। অনেক সময় হত্যাকান্ড ঘটলে পরিচয় বের করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
জানা যায়, আবাসিক হোটেলগুলোতে সরকার কয়েক বছর আগেই বাধ্যতামূলকভাবে বর্ডারের ছবি তোলাসহ পরিপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশনা জারি করে। রাজধানীসহ বড় হোটেলে সেসব নীতি কিছুটা বাস্তবায়িত হলেও মফস্বল এলাকার হোটেলগুলোতে সেসব নিয়ম মানাই হয় না। যার ফলে এসব এলাকায় বড় ধরনের অঘটন ঘটার আশঙ্কা থাকে।
গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকার হোটেল আল হেলাল ইন্টারন্যাশনালে পরিপূর্ণ তথ্য ছাড়াই এক রহস্যময় দম্পতি হোটেল কক্ষ ভাড়া নেন। হোটেলের রেজিস্ট্রারে পরিপূর্ণ তথ্য ছিল না এবং তাদের ছবিও তুলেন রাখেননি সংশ্লিষ্টরা। তাদের পেশার কলামেও অসঙ্গতি ছিল। সকালে কথিত স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করে বাইরে থেকে হোটেল কক্ষ তালা মেরে পালিয়ে যায়। এ খবর পুলিশের কাছে পৌঁছলে পুলিশ গিয়ে ছবি না থাকায় তাদের শনাক্ত করতে হিমশিম খায়। পরে বিভিন্ন সূত্রের সাহায্য নিয়ে বিকেলে পরিচয় শনাক্ত করতে সম্ভব হয়। পুলিশের ধারণা হোটেল কর্তৃপক্ষ এই দম্পতির ছবি তুলে রাখলে সহজেই পুলিশের পক্ষে পরিচয় উদ্ধার সহজ হতো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের কোন আবাসিক হোটেলই বর্ডারের ছবি তুলে রাখা হয় না। ফলে অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুষ্কৃতকারীরা এসব হোটেলে সহজেই রাত্রিযাপন করে নানা অসামাজিক কার্যক্রম করে। তাছাড়া দাগি আসামি, মদ্যপ, জুয়াড়িরাও বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করে বলে জানা গেছে।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষ বর্ডারের ছবি তোলে রাখলে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের পক্ষে পরিচয় শনাক্ত করা সহজ হয়। তবে অচিরেই আমরা আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসবো। তাছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের আরো সচেতন ও সাবধান হওয়া উচিত।