গত ৪ জানুয়ারি ছিল লড়াই-সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সুনামগঞ্জ শহরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৯ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন। এ বিষয়টি রাজনীতিসচেতন জনসাধারণের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। অনেকেরই মন্তব্য ছিলÑ সংগঠনে চেইন অব কমান্ড না থাকায় এই বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেকে বলছেন আ.লীগে বিভক্তি থাকায় ছাত্রলীগেও বিভক্তি দেখা দিয়েছে। আর দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন এবং কমিটি গঠন না হওয়ায় এই বিভক্তি বাড়ছে।
একটা বড় দল বা সংগঠনে মতদ্বন্দ্ব থাকতে পারে। তবে এতো বিভক্তি সুনামগঞ্জের ছাত্র রাজনীতিতে আর কখনো দেখা যায়নি। এভাবে টুকরো টুকরো হয়ে পড়লে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি ছাত্রলীগ অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন হতে পারে। শিক্ষা – শান্তি – প্রগতির ধারক এই সংগঠনটির এমন বেহাল অবস্থা হলে এটা বলা বাহুল্য হবে না যে, দেশবিরোধী শক্তি এই বিভক্তিকে কাজে লাগিয়ে নানা অপকর্ম করতে পারে।
৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে খন্ড – বিখন্ড ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ অবস্থান এবং শক্তিকেই জানান দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই তারুণ্যের শক্তিকে যদি এক করে নেয়া যেত তাহলে আরো বেশি শক্তিশালী হত সংগঠন। কিন্তু সেই প্রয়াস আমরা লক্ষ্য করিনি।
বাংলাদেশ এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। একদিকে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি, অপরদিকে একাত্তরের পরাজিত দেশবিরোধী অপশক্তি। এই অপশক্তি দেশের অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে পারছে না। এই দেশের আলো-বাতাসে থেকেই তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বারবার তারা পরাজিত হয়েছে। তবে ষড়যন্ত্র ঠিকই করে যাচ্ছে। এ অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্রকে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে। এক্ষেত্রে ছাত্রলীগকে ভ্যানগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ বাদ দিয়ে দেশের জন্য ভাবতে হবে, দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কোনো দেশবিরোধী অপশক্তি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বিভেদ নয়, আমরা দেখতে চাই ঐক্যবদ্ধ ছাত্রলীগ।