আজ মহান বিজয় দিবস। আমাদের পরম গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। বিজয়ের এই অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের; যেসব নারী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাদের। এদিনে আমরা স্মরণ করছি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদেরও। কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
বলতে দ্বিধা নেই, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে। তবে এ পথ পাড়ি দিতে আমাদের অনেক চড়াই-উৎরাই মোকাবেলা করতে হচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো তৎপর। তারা নানাভাবে এই শান্তি ও সম্প্রীতির দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। সেই অপশক্তিই এখন উন্নয়নের পথে বড় বাধা। তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে যেভাবে একাত্তরে পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়েছিল, এখনো তারা তাদের কৌশলী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সেই চিহ্নিত অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের পেছনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যে ঐক্য কাজ করেছিল, সেই প্রেরণা নিয়ে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে যেতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সব সমস্যা মোকাবেলায় সচেষ্ট হলেই আমাদের অগ্রগতি ঘটবে দ্রুত। বিভেদ ভুলে আমরা সে পথেই অগ্রসর হবো। সোনার বাংলা গড়াই হোক আমাদের বিজয় দিবসের অঙ্গীকার।