নদী ভাঙন একটি নিয়মিত ঘটনা এদেশে। একে ঘটনা না বলে দুর্যোগ হিসেবেও অভিহিত করা যায়। নদীমাতৃক এই দেশে নদীর সঙ্গে যেমন মিশে আছে কোটি কোটি মানুষের জীবন; তেমনি এই নদী মানুষের সর্বনাশের কারণও। বিশেষ করে নদী ভাঙন ও বন্যা মানুষের সর্বনাশ ঘটাচ্ছে। এই ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সুরমার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা যায়, দোয়ারাবাজারে সুরমার ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্থানীয় গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে কয়েকজন বক্তা নদীর কূলের গ্রামকে রক্ষার জন্য অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধের দাবি জানিয়ে বলেন যে, দোয়ারায় সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙন দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে গেছে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা, মসজিদ, মাদ্রাসা গ্রামের অসংখ্য ঘর-বাড়ি। হুমকিতে রয়েছে সরকারি বরাদ্দকৃত ভরাট করা জায়গা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসভবন।
আমরা জানি, এই নদী ভাঙনের ক্ষয়ক্ষতি সুদূর প্রসারী। দেশের আর্থ-সামাজিক, ভৌগোলিক ও পরিবেশগত পটভূমিতে নদী ভাঙন একটি চলমান সমস্যা। নদী ভাঙনের ফলে নদী ভরাট হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে যেমন তেমনি বাড়ছে বন্যার প্রকোপও।
বাস্তবতার প্রেক্ষিতে নদী ভাঙন সমস্যাটির সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, দোয়ারাসহ জেলার অন্যান্য এলাকায় নদী ভাঙন সমস্যাটিকে চলতে না দিয়ে সুপরিকল্পিত উপায়ে ভাঙন রোধ করা ছাড়া অন্য পথ নেই। সরকারের নীতি নির্ধারকেরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অবিলম্বে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করে মানুষের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দূর করবেন এমনটাই প্রত্যাশা।