মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের জীবনের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিতে চায়। ইতোমধ্যে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের সকল মৌলিক অধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। হাজার হাজার শিশু, বৃদ্ধা, মহিলা না খেতে পেরে মারা যাচ্ছেন। কত মানুষ পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে জীবন হারাচ্ছেন। সেই দেশের সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনে রোহিঙ্গা মুসলিমরা অতিষ্ঠ। কোনো দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ নিয়ে ঢুকতে পারছেন না। কাঁটাতারের বেড়ায় তাদের জীবন ধুঁকে ধুঁকে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই অসহায় রোহিঙ্গাদের দোষ তারা মুসলিম। তাদের পক্ষে আওয়াজ উঠানোর মতো কেউ নেই। গোটা বিশ্ব আজ নীরব। জাতিসংঘ চুপ। বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠনগুলো নোবেলজয়ী আন সাং সুচির ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন।
মায়ানমার সরকার এই রোহিঙ্গাদের সেদেশের নাগরিক বলে স্বীকার করছে না। আবার বাংলাদেশ সরকারও সঙ্গত কারণেই তাদেরকে বাংলাদেশের নাগরিক বলতে রাজি নয়। ফলে ওরা উদ্বাস্তু। বিশ্ববাসী কী আমেরিকার দাসত্ব স্বীকার করে বসে থাকবে। আমেরিকা বিশ্বকে ¯পষ্টভাবে যে বার্তা দিচ্ছে তাহলো তোমরা অভিবাসীদের আশ্রয় দিও না। তাহলে ওরা যাবে কোথায়? পৃথিবীর দেশে দেশে সন্ত্রাস, যুদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতা ও হানাহানির যে বিশৃঙ্খল রাজনীতি শুরু হয়েছে তার কবলে প্রাণ হারানো ছাড়া নিরীহ এই মানুষগুলোর সামনে কি আর কোন পথ খোলা নেই? বিশ্ব বিবেক কি এতই বধির?
রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমার সরকারের এই অত্যাচার আমরা তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাই। বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা রেখে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে চাপ সৃষ্টি করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।