মতিউর রহমান ::
সুনামগঞ্জের একটি আঞ্চলিক কথাÑ সব মাছে গু খায়, লাড়িয়া মাছের বদনাম যায়।
বৃহত্তর সিলেটের দানবীর রাগীব আলী পরের স¤পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে হাজার কোটি টাকার স¤পত্তি ফেলে সপরিবারে দেশছাড়া হয়েছিলেন। এখন আছেন কারাগারে। অথচ শত শত রাগীব আলীর মতো পরধন আত্মসাৎকারী আমাদের সমাজে মুঁছে তা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, কপালে তিলক, নয়তো সফেদ টুপিধারী, একাধিক বার পুণ্যস্থানে গমনকারী, নিয়মিত নামাজ রোজা আদায়কারী মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ, অথচ পরধন আত্মসাৎকারী। সকল মানবিক গুণই আছে কিন্তু নেই নৈতিক চরিত্রের দৃঢ়তা। মনে লুকিয়ে আছে অফুরন্ত লোভ আর খাই খাই স্বভাব। শতশত একর জমির মালিক, ব্যাংক ভরা টাকা, উচ্চশিক্ষিত প্রতিষ্ঠিত ছেলে-মেয়ে থাকা সত্ত্বেও শেষ হয় না পরধন আত্মসাতের লোভ। অপরের জমির আইল ঠেলা নয়তো অন্যের সরলতার সুযোগ নিয়ে জমি আত্মসাৎ রোগে ধরা মানুষ অহরহ আমাদের সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু দুনিয়াতে পার পেলেও মরণের পর শেষবিচারের দিনে পাবেনা আল্লাহ’র কাছে ক্ষমা।
আল্লাহ বলেছেন, হাসরের মাঠে আমি সবকিছু ক্ষমা করতে পারি কিন্তু আত্মসাৎকারীর ক্ষমা নেই। হিন্দু ধর্মে আছে, পরধন আত্মসাৎকারী পুত্র হত্যাকারীর মতো দোষী।
সহৃদয় পাঠক, একজন মানুষের কবরের জন্য কতটুকু জমি প্রয়োজন? মাত্র সাড়ে তিন হাত। এটাই সত্য। আসুন সবাই মিলে লোভকে কবর দেই। পরের ধনের প্রতি লোভ কমাই। শেষ ঘণ্টা বাজার আগে পরের পাওনা মিটিয়ে দিতে পারলেই ভালো। নইলে রাগীব আলীর মতো, ইহকাল ও পরকাল দুটোই খোয়াতে হবে। আমার কাছে, কারো কোন পাওনা থাকলে দয়া করে যোগাযোগ করুন।