স্টাফ রিপোর্টার ::
কণ্ঠে গান। হাতে মশাল। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন দিরাই উপজেলায় জাসদ মনোনীত একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত রায়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী এলাকার মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের মন জয়ে নানা চেষ্টা করছেন তিনি। এবার উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
ইউনিয়নের কাইলানী গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণকান্ত রায় দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সংগীত চর্চা করেন। এলাকার শিশুদের গান শিখান। নিঃসন্তান এই শিল্পীর দিনের বেশির ভাগ সময়ই শিশুদেরকে গান শিখানোতে চলে যায়। কল্যাণ শিল্পকলা একাডেমি নামে গানের একটি সংগঠনও রয়েছে তাঁর। বর্তমানে প্রায় শতাধিক ছাত্র তাঁর কাছে গান শিখে।
দিরাই উপজেলা জাসদের সদস্য কৃষ্ণকান্ত রায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমাদানের পরেই বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। মশাল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রার্থনা জানাচ্ছেন। কখনো গান গেয়েও ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন তিনি। এভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।
দিরাই উপজেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন বলেন, কৃষ্ণকান্ত রায় জাসদের মশাল প্রতীকে প্রার্থী হবার পর এলাকার ভোটের হিসেব-নিকেশ পাল্টে গেছে। সজ্জন ও সদালাপী এই শিল্পী রাজনীতিবিদকে নিয়ে ভোটারদের মধ্যে সরব আলোচনা চলছে। বিজয়ের প্রশ্নে জাসদ প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র প্রার্থীরাও সমীহ করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত রায় বলেন, প্রার্থী হয়ে আসার পর এলাকার ভোটাররা আমাকে স্বতঃস্ফূর্ত গ্রহণ করেছেন। যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই তাঁরা আমাকে আশার বাণী শোনাচ্ছেন। আমার গানের শিক্ষার্থীরা আমার প্রচারণায় অংশ নিয়েছে। আমি গানে গানে ভোটারদের দোয়া ও আশীর্বাদ চাইছি।