এ দেশে যারা ধর্মীয় পরিচয়ে সংখ্যালঘু তারা তো এ দেশেরই নাগরিক। এ দেশেই তারা যুগ যুগ ধরে বাস করে আসছেন। এরা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সম্প্রতি হীনউদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালায় একাত্তরে পরাজিত মৌলবাদী অপশক্তি। গত ৩০ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিন্দু পরিবারগুলো। তাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে তছনছ ও লুটপাট করা হয়েছে মালামাল ও আসবাবপত্র। হাত তোলা হয়েছে স¤পূর্ণ নিরপরাধ মানুষের গায়ে। মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে প্রতিমাও। নাসিরনগরের এই ঘটনা চট্টগ্রামের রামুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাত্র। তাই অনেকে এঘটনাকে দ্বিতীয় রামু হিসাবে অভিহিত করেছেন। এ ঘটনা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। তারা বলেছেন যে, ফেসবুকের কোনো স্ট্যাটাস বা গুজবের ওপর ভিত্তি করে অন্য ধর্মের ওপর কোনো আঘাত মেনে নেয়া যাবে না।
আমাদের সংবিধানে সকল ধর্মাবলম্বীর স¤পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। দেশে ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব মানুষের পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ সাংবিধানিক দায়। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাদান এবং তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারকে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হতে হবে। যারা সম্প্রীতি নষ্ট করে, সুস্থ সামাজিক পরিবেশকে সহিংস করে সেই অশুভ শক্তিকে কঠোরভাবে ঠেকাতে হবে।