নৌপথে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য এতোটাই বেড়ে গেছে যে, চাঁদা না দিলে চাঁদাবাজরা নৌ শ্রমিকদের উপর অত্যাচার শুরু করে। সীমাহীন অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে অনির্দিষ্টকালের নৌ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ভলগেট ও স্টিলবডি নৌকার শ্রমিকরা। নৌপথে চাঁদাবাজি কমানো না গেলে জেলার নৌপথের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হবে দিন দিন।
গতকাল দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিলÑ “নদীতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি : চলছে অনির্দিষ্টকালের নৌ ধর্মঘট”। সংবাদ বিবরণে জানা যায়, ‘আবুয়া ও রক্তি নদী এলাকার ছোট ছোট নৌকা দিয়ে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে প্রতি নৌকা থেকে এক হাজার অথবা পাঁচশত টাকা করে চাঁদা আদায় করছে চাঁদাবাজরা। মারধরের ভয়ে দিনের পর দিন চাঁদা দিয়ে আসছেন বালু ও পাথরবাহী স্টিলবডি নৌকা শ্রমিকরা। বেপরোয়া চাঁদাবাজদের অত্যাচারের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের নৌ ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর এলাকার নদীতীরে শত শত বালু-পাথর বোঝাই স্টিলবডি নৌকা নোঙর করে রেখে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ভলগেট ও স্টিলবডি নৌকা শ্রমিকরা। যতোদিন পর্যন্ত এ নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধ না হবে ততোদিন পর্যন্ত নৌশ্রমিকদের এ ধর্মঘট চলমান থাকবে।’
চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট জেলার নদীপথের বিভিন্ন স্থানে মোটা অংকের চাঁদা দিতে বাধ্য করে নৌ শ্রমিকদের। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের উপর নেমে আসে ভয়ংকর নির্যাতন। নদীপথে এই বেপরোয়া চাঁদাবাজি নিয়ে গণমাধ্যমে অসংখ্য সংবাদ প্রকাশ হলেও এই অবস্থার তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। আমরা চাই, শীঘ্রই চাঁদাবাজি বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।