বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা আর বিশ্বাস স্থাপন সুদৃঢ় হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা ও দৃঢ় মনোবলের কারণে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে ব্যবসায় বিনিয়োগবান্ধব অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একের পর এক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের দ্বার সম্প্রসারিত হচ্ছে।
সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আল রাজি কোম্পানি বাংলাদেশে সিমেন্ট ও কাগজ কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ করার লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প করপোরেশনের (বিসিআইসি) সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ-চীন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দুই দেশ। উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই চুক্তি হয়। বাংলাদেশের সাথে দুটি বড় দেশের চুক্তি সই দেশের আর্থনীতিক উন্নতির জন্য ইতিবাচক দিক।
সংবাদ পাঠে জানা গেছে, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী আল রাজি কোম্পানি বিসিআইসি’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অথবা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি সংলগ্ন কারখানাটির নিজস্ব জমিতে ৩৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে। বার্ষিক ১৫ লাখ টন উৎপাদনক্ষমতার একটি সিমেন্ট কারখানাও স্থাপন করা হবে। এছাড়া আল রাজি কোম্পানি কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) সংলগ্ন কারখানার নিজস্ব জমিতে ৩৬০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বছরে ৩ লাখ টন উৎপাদনক্ষমতার একটি কাগজ উৎপাদন কারখানাও স্থাপন করবে। গত মার্চ মাসে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সৌদি আরব সফরকালে সে দেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের সার, রাসায়নিক পণ্য, চিনি, সিমেন্ট, কাগজসহ বিভিন্ন শিল্প খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এবং গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব সফরকালে সৌদি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান করেছিলে। তাঁদের এ আহ্বানের প্রেক্ষিতেই ২০ অক্টোবর আল রাজি কোম্পানি (বিসিআইসি)র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
আমরা আশাবাদী, আল রাজি কোম্পানির সঙ্গে বিসিআইসির চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে সৌদি-বাংলাদেশ বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মেচিত হয়েছে। এবং বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আরও সৌদি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। ক্রমাগতভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব অনুকূল পরিবেশ বাজায় থাকুক Ñ এটাই প্রত্যাশা।