গত রোববার দক্ষিণ সুনামগঞ্জের গাজীনগর গ্রামে বিয়ের তিন দিনের মাথায় ফিরাযাত্রায় গিয়ে খুন হয়েছেন বর। সোমবার ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজে সহপাঠীর হাতে খুন হয়েছেন দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। পাশাপাশি সময়ে দুটি উপজেলায় দুটি খুনের ঘটনা সামাজিক উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়। সংঘটিত ঘটনা দুটিই বলে দেয় সামাজিক অবস্থা এখন কোন পর্যায়ে আছে। সমাজে কতোটা অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে।
এখানে দুটি হত্যাকান্ডের উল্লেখ করা হলেও সমাজে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে যে সামাজিক অবক্ষয় দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা মনে করি, এসব ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানবিক মূল্যবোধের অভাব। তাছাড়া সমাজে মাদকের বিস্তারের কারণে শিশু, কিশোর ও যুবকদের মানসিক ও শারীরিকভাবেও বৈকল্য দেখা দিচ্ছে। সমাজে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে আইনের যথাযথ প্রয়োগ যেমন দরকার, তেমনিভাবে পারিবারিক ও সামাজিক মেলবন্ধনও সৃষ্টি করতে হবে। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি একজন মানুষের অপরাধী হয়ে ওঠাও ঠেকাতে হবে। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। শুধু কঠোর আইনের মাধ্যমেই সামাজিক অপরাধ রোধ করা সম্ভব নয়, এ জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। সমাজের সুস্থ কোনো মানুষ হত্যাকান্ড দেখতে চায় না। সম্প্রতি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও ছাতক উপজেলায় সংঘটিত হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক – এটাই সকলের কাম্য।