1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

অশুভকে বিনাশ করে মানব মনে সঞ্চারিত হোক শুভ চেতনা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৬

প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় দুর্গোৎসবের আয়োজন ছিল লক্ষণীয়। সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের পূজা মন্ডপগুলোও ছিল উৎসবমুখর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীর পাশাপাশি অন্য ধর্মের মানুষও সর্বজনীন দুর্গোৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেন।
এ দেশে শত শত বছর ধরে বিভিন্ন সম্প্রদায় পার¯পরিক সহাবস্থান ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছে। এটা বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির পরিচায়ক। মঙ্গলবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গপূজা সম্পন্ন হয়েছে। চোখের জলে বিদায় জানানো হয়েছে মা দুর্গাকে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে মর্ত্যলোকে পৃথিবীতে এসেছিলেন। আবার বিদায় নিলেন সেই ঘোড়ায় চড়েই।
পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে এ পূজার আয়োজন করায় এ পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধারে যাত্রার আগে শ্রীরাম চন্দ্র দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে। এজন্যই দেবীর শরৎকালের এ পূজাকে অকালবোধনও বলা হয়।
শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার আবাহন হয়েছিল। দেবী দুর্গা অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক। এ বিজয় অর্জিত হয় আদ্যাশক্তি মহামায়ার সক্রিয় ভূমিকায়। মাতৃরূপিণী মহাশক্তি দুর্গা অশুভ শক্তির কবল থেকে বিশ্বব্রহ্মান্ড ও ভক্তকুলকে রক্ষা করেন। এই অমিত চেতনার সঙ্গে আবহমান বাংলার লোকজ সংস্কৃতি যুক্ত করে দেবী দুর্গাকে বাঙালি হিন্দু সমাজ ‘ঘরের মেয়ে’ হিসেবেই বরণ করে নেয়।
শাস্ত্র মতে, ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিমার পূজা করা হলেও বিজয়া দশমীর দিন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে প্রতিমাকে নিরাকার করা হয়। দেবী তখন আবার ভক্তদের হৃদয়ে আসন নেন। এদিন সকলের অন্তরে মা স্থান করে নেন এবং বিশ্ব চরাচর আসুরিক শক্তিমুক্ত হয় বলে সবাই আনন্দে কোলাকুলি করে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে পরস্পরের এই কোলাকুলি এবং আনন্দ হচ্ছে বিজয়ার আনন্দ। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, বিজয়া দশমীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মা দুর্গা তার সন্তান কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ কৈলাশে স্বামীর গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে মহালয়া অমাবস্যায় তিনি মর্ত্যে পিতৃগৃহে আগমন করেন। মর্ত্যলোকে মা দুর্গার আগমনে অসুরের নিধন ও শুভশক্তি জয় হয়। তবে সম্প্রীতির বিষয়টি কেবল বিশেষ উপলক্ষ বা পর্বে সীমাবদ্ধ থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সর্বসময়ে সব ধর্মাবলম্বীর নিরাপত্তা ও নির্বিঘেœ ধর্ম পালন যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সদ্ভাব ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি। দুর্গোৎসবের সঙ্গে বাংলার প্রকৃতিরও রয়েছে নিগূঢ় স¤পর্ক। শরতের শুভ্র কাশফুলের মতো মানব হৃদয়েও পুণ্যের শ্বেতশুভ্র পু®পরাশি প্রস্ফুটিত হোক। অসুরকে বধ ও অশুভকে বিনাশ করে মানব মনে সঞ্চারিত হোক শুভ চেতনা- এটাই প্রত্যাশা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com