স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জেও কোটা আন্দোলনের হাওয়া লেগেছে। এতোদিন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর কোনো কর্মসূচি দেখা না গেলেও রবিবার শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা এবং স্মারকলিপি প্রদান করেছে। কোটা বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে সংসদে আইন পাস করতে জরুরি অধিবেশন ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা এবং প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার সকালে শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রেজাউল করিমের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে বাধিত করবেন। মহামান্য হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবে। ছাত্রসমাজ দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে রাজপথে ঝড়-বৃষ্টি-খরতাপকে উপেক্ষা করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হোক তা আমরা কখনোই চাই না। আমরা দ্রুতই পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। ছাত্রসমাজ আশা রাখে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে বাধিত করবেন। অন্যথায় ছাত্রসমাজ নিজেদের অধিকার রক্ষায়, বৈষম্যমুক্ত ও মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।
কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী নাসিম চৌধুরী, ইমন দ্দোজা আহমেদ, মোমিনা বেগম, বায়েজিদ আহমেদ, বর্ণা, ওবায়দুল, দীপক সরকার, গোলক চন্দ্র দাস, সাব্বির আহমদ, সাগর সরকার, সৌরভ সনি, আব্দুল বারি, বাকি বিল্লাহ, ওসমান, সুমন, জামিল, সুমাইয়া, সাঈদ, রুহুল, সুফিয়ান প্রমুখ।