স্টাফ রিপোর্টার ::
বাড়ির সামনে হাওরে বর্ষার থৈথৈ পানিতে গোসল করছিলেন বউ-শাশুড়ি। অসাবধানতাবশতঃ ঘাট থেকে পা পিছলে পড়ে যান বউ। শাশুড়ি এগিয়ে গিয়ে বউমাকে রক্ষায় ঝাঁপ দেন। এতে দুজনই ডুবে যান। ডুবে যাওয়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে স্বজনরা বউ-শাশুড়ির মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় তাদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেন, শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জানিয়ারচর গ্রামের হক মিয়ার স্ত্রী পিপাসা আক্তার (২০) ও তার মা রেজিয়া খাতুন (৪০) বাড়ির সামনে মুগারাইন হাওরে গোসল করতে নামেন। গোসলের এক পর্যায়ে পা পিছলে হাওরের নিচে গহীনে পড়ে যান পিপাসা আক্তার। তাকে ধরতে ঝাঁপ দেন শাশুড়ি রেজিয়া খাতুন। এতে দুজনই ডুবে যান। স্বজনরা বিকেল চারটার দিকে হাওর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ মরদেহ পরিবারের লোকদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নেকচান মিয়া বলেন, পুত্রবধূকে বাঁচাতে গিয়ে শাশুড়ি হাওরের পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারা গেছেন। তাদের দুজনকে বেলা তিনটার দিকে মৃত অবস্থায় হাওর থেকে উদ্ধার করা হয়।
পিপাসার স্বামী হক মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘটনার সময় আমি পাশের বাড়িতে ছিলাম। আমার স্ত্রী ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আমার মা ও বউয়ের মৃত্যু কোনো অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছি না।
ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোবায়ের পাশা হিমু বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বর্ষার উত্তাল হাওরে গোসলে নেমে বউমাকে বাচাতে গিয়ে শাশুড়িও জীবন দিলেন। দুজনের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।