সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জ্বর ভুগছেন। জ্বর আসার কারণ খুঁজছে মেডিকেল বোর্ড। জ্বর নতুন কোনো রোগের উপসর্গ কি না-তা বের করার চেষ্টা করছে বোর্ড। একইসঙ্গে রক্তের হিমোগ্লোবিনও অনেকটা কমে গেছে খালেদা জিয়ার। যা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। এ নিয়ে গত বুধবার দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে বোর্ড মিটিং হয়। চিকিৎসকরা জ্বরের কারণ খুঁজতে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এগুলোর রেজাল্টের ওপর চিকিৎসা চলছে। সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক।
সবশেষ বাড়ি ফেরার ছয় দিনের মাথায় ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হঠাৎ প্রেশার কমে যাওয়া ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার সোমবার রাতে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থা এখনও স্বাভাবিক নয়।
মেডিকেল বোর্ডের ওই সদস্য জানান, হৃদপি-ে বসানো পেসমেকারে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয়নি। এই দফার সমস্যা এখনো নির্ণয় করা যাচ্ছে না। এবার বাসায় ফিরতে বেশ সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেড এম জাহিদ হোসেন জানান, উনি এখন কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। গত ২২ জুন গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার হৃদযন্ত্রে বসানো হয় পেসমেকার। চিকিৎসা শেষে গত ২ জুলাই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
দুর্নীতি মামলায় দ-িত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে যেতে হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুতে তার পরিবারের আবেদনে সরকার নির্বাহী আদেশে দুই শর্তে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। শর্ত হল, তাকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। গত তিন বছরে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে কয়েক দফা অনুমতি চাইলেও ওই শর্তের যুক্তি দেখিয়ে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।