ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গরু চোরের উপদ্রব আশঙ্কাজনক বেড়েছে। গত এক মাসে ওই ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে ১৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি ঠেকাতে গত বুধবার (৩ জুলাই) থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা রাত জেগে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে গত ১ জুন রাত থেকে শুরু করে ২ জুলাই রাত পর্যন্ত ১৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই ইউনিয়নের মফিজ নগর গ্রামের কৃষক আলম তাজের গোয়ালঘর থেকে চারটি গরু, একই গ্রামের কৃষক খায়রুল মিয়ার একটি, সবুজ মিয়ার একটি, বরই গ্রামের কৃষক রাব্বী মিয়ার দুটি, বাদে হরিপুর গ্রামের কৃষক হাফিজ উদ্দিনের একটি, জয়শ্রী গ্রামের কৃষক গৌরাঙ্গ সরকারের একটি, অরুণ মজুমদারের একটি, রাজেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক লালন মিয়ার একটি, কৃষক শাহজাহান মিয়ার একটি, চানপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলীর একটি ও নজরপুর গ্রামের কৃষক আহাদ আলীর একটি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। চুরি ঠেকাতে গত বুধবার (৩ জুলাই) থেকে রাত থেকে স্থানীয় গ্রামবাসী রাত জেগে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন।
উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪০) বলেন, আমাদের ইউনিয়নে গরু চুরি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় রাতের বেলায় ভালোভাবে আমরা ঘুমাতে পারছি না।
জয়শ্রী ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাসেল আহমদ বলেন, আমাদের ইউনিয়নে গরু চোরের উপদ্রব ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। চুরি ঠেকাতে গ্রামবাসীরা মিলে গত বুধবার (৩ জুলাই) রাত থেকে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন।
জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী বলেন, গত এক মাসে আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ১৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গরু চুরি ঠেকাতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো দরকার।
জয়শ্রী ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা ধর্মপাশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পিয়াস পাল বলেন, গরু চুরি হওয়ার খবরটি আমাকে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।