সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় মামলায় পিএসসির দুই উপ পরিচালকসহ ১০ জনের ১০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য ১৬ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত। বৃহ¯পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আসামিদের উপস্থিতিতে এ দিন ধার্য করেন।
যাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- পিএসসির উপ পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালের টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান।
গত ৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জুয়েল চাকমা ১৭ জনকে আদালতে হাজির করেন। এর মধ্যে পিএসসির গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সাইম হোসেন এবং লিটন সরকারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আর ১০ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে আবু সোলায়মান মো. সোহেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৬ আসামিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। আর এ ১০ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।
গত ৮ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপ পরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, শরীফুল ইসলাম ভুইয়া, দীপক বণিক, মো. খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, একে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, মো. গোলাম হামিদুর রহমান, মুহা. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এটিএম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ পলাতক রয়েছেন।