স্টাফ রিপোর্টার ::
বন্যার প্রকোপ থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিকদের সংগঠন সুনামগঞ্জ জনউদ্যোগ। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলফাত স্কয়ারে (ট্রাফিক পয়েন্ট) এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খলিল রহমান, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ জনউদ্যোগের সদস্য রাজু আহমদ, ইফতেখার সাজ্জাদ পিয়াল।
মানববন্ধনে জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে দুই দফায় বন্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে সুনামগঞ্জবাসীকে। মেঘালয় থেকে নেমে আসা নদীগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া, প্রতিবছরে হাওরে অপরিকল্পিত ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও শহরের খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন বন্যার পানি নেমে গেলেও দেখার হাওরের তীরবর্তী গ্রামগুলোর সড়কে পানি রয়েছে। নদীর পানি কমলেও হাওরের পানি না কমায় জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন তারা। বছর বছর বন্যার ক্ষতির হাত থেকে ও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চায় সুনামগঞ্জের মানুষ।
মানববন্ধনের সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, অলিম্পিক খেলা ৪ বছর পরপর হয়, আর সুনামগঞ্জে বন্যা দুই বছর পরপর হয়। তাই সিলেট সুনামগঞ্জের বন্যাকে অলিম্পিক বন্যা নাম দিয়েছি। অলিম্পিক খেলা যেমন নির্দিষ্ট সময়ের পর হয়, এই অঞ্চলে বছরের নির্দিষ্ট সময়েই হয়। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ শহরের কামারখালসহ ২০টি খাল দখল-ভরাট হয়ে গেছে। এই খালগুলো দিয়ে নদী থেকে দেখার হাওরে পানি প্রবেশ করতো। এখন খাল দিয়ে আর পানি যেতে পারে না। এজন্য বৃষ্টিপাত হলেই শহরে ও নদীর তীরবর্তী গ্রাম প্লাবিত করে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য খালগুলো খনন করে পানির অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। মানববন্ধনের সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান আসাদ।