শহীদনূর আহমেদ ::
টানা তিন সপ্তাহ ধরে বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ। দ্বিতীয় দফায় সুনামগঞ্জের ৭ উপজেলা বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যা পানি রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলে জেলার ২৯৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকার বেশিরভাগ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষান্মাসিক পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে জেলার ২৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকার ৫৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা মিলে মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে পানি নামার সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ কার্যক্রম চালু করার কথা জানান কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের পড়াশোনা। বন্যার পানিতে বইপত্র নষ্ট হওয়ায় বিপাকে রয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার বড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মুজিবুর রহমান জানান, দুই দফা বন্যায় এলাকার অর্ধশত পরিবার বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। এখনো কিছু পরিবার বিদ্যালয়ে অবস্থান করছে। এখনো বিদ্যালয়ে পাঠকার্যক্রম শুরু করা যায়নি বলে জানান তিনি।
দুলাল মিয়া নামের এক অভিভাবক জানান, বন্যার কারণে রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনি। পানির কারণে বইপত্র নষ্ট হয়েছে। শিশুদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাস বলেন, বৃহ¯পতিবার পর্যন্ত জেলার ২৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। ৫৯টি প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানেও সাময়িকভাবে পাঠকার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন্যার কারণে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষান্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। তবে পানি কমার সাথে সাথে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া আছে।