হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় শারদীয় দুর্গোৎসব গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার ছিল মহাসপ্তমী। খুবই আনন্দমুখর পরিবেশে মন্ডপে মন্ডপে চলে আরতি। আজ মহাঅষ্টমীতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রীতির চেতনায় এবারও দুর্গাপূজা আনন্দমুখর পরিবেশে উদ্যাপন হোক এটাই সবার কাম্য। মানুষজন যাতে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উৎসবে অংশ নিতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের প্রথম দিনে ষষ্ঠীতিথিতে মন্ডপে মন্ডপে দেবীর অধিষ্ঠান হয়। দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস ছাড়াও সব মন্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ-আরতির আয়োজন করা হয়। শনিবার দ্বিতীয় দিনে মহাসপ্তমীতে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মন্ডপে মন্ডপে চলে আরতি। এই আরতি দেখতে সন্ধ্যা থেকেই মন্ডপগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
মন্ডপগুলোতে ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ আর উলুধ্বনির শব্দ দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের কথা জানান দিচ্ছে। এ ছাড়া পূজার মন্ত্রোচ্চারণ, আরতি আর মাইকের আওয়াজে এখন মাতোয়ারা পূজা মন্ডপগুলো। হিন্দুদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের মানুষও এসব মন্ডপে ঘুরতে আসায় উৎসব সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
এবার সুনামগঞ্জ জেলায় ৩৫১টি পূজামন্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে। সারাদেশে পূজামন্ডপের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৯৫টি। পূজাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সংস্কৃতির রাজধানী সুনামগঞ্জে যে কোনো ধর্মীয় উৎসব সর্বজনীন ও উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। এখানে সকল ধর্মের মানুষের মেলবন্ধন ও সহাবস্থান যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। সেই সূত্র ধরে এবং ধর্ম যার যার, উৎসব সবার এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৫দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হোক এটাই সবার কাম্য। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।