সিলেটে কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য দিবালোকে চাপাতি দিয়ে কুপালো শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বদরুল। গত ৩ অক্টোবর সোমবার বিকেলে এমসি কলেজের পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পর সহপাঠীদের সামনে বদরুল চাপাতি দিয়ে খাদিজার উপর হামলা চালায়।
প্রকাশ্যে দিবালোকে চাপাতি দিয়ে এভাবে কেউ মানুষ কুপাতে পারে? বিষয়টি নিয়ে সমাজের সকল মহলে চলছে সমালোচনা। এ নৃশংস ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। খাদিজার সুস্থতা কামনায় সৃষ্টিকর্তার দরবারে দোয়া চেয়েছেন আপামর মানুষ। এছাড়া হামলাকারী বদরুলকে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ হচ্ছে।
দেশে এর আগেও এমন একাধিক নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠে অধ্যয়নরত ছাত্রের দ্বারা সংঘটিত এমন জঘন্য ঘটনায় সকল মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে – যেখান থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যা, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞায় অনেক বড় হবে, আগামীতে রাষ্ট্রের কর্ণধার হবে, সেই বিদ্যাপীঠে অধ্যয়ন করে একজন ছাত্র কীভাবে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হতে পারে? বিষয়টি সত্যিই উদ্বেকজনক।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত বিভিন্ন নৃশংস ঘটনা সামাজিক উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। এসব ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য সকলকে সোচ্চার হতে হবে। মনে রাখতে হবে শুধু আইনের উপর ভরসা করেই এসব ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হবে না। প্রয়োজন পরিবার থেকেই একজন মানুষকে ‘মানুষ’ হতে শিক্ষা দেয়া। পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক, মানবিক ও আদর্শিক মূল্যবোধেরও শিক্ষা দিতে হবে। আমরা খাদিজার উপর হামলাকারী বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই। সেই সাথে খাদিজা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক সেই কামনা করি।