সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জিয়াউর রহমানকে খুনি আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনি জিয়া তো রক্তাক্ত হাতেই খাবার খেতে বসতো এবং খেতে খেতেই ফাঁসির আদেশে স্বাক্ষর করতো। জিয়ার নির্দেশে অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা স্বাধীন দেশের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীনতাবিরোধীদের ছেড়ে দিয়ে প্রমাণ করেছে সে পরাজিত শক্তির দালাল ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করতো না। জিয়ার সাড়ে পাঁচ বছরের শাসনামলে ২১টি ক্যু/পাল্টা ক্যু হয়। কর্নেল তাহেরকে সে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছিল। সার্বিক প্রেক্ষাপটে জিয়া অত্যন্ত হিং¯্র ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে রাজশাহী-৩ আসনের এমপি মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ¯িপকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের ‘বাংলাদেশ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ বইয়ের উদ্বৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে তিনি লিখেছেন, সরকারি হিসাবমতে জিয়া ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র দু’মাসের মধ্যে এক হাজার ১৪৩ জন সৈনিককে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল।
আসাদুজ্জামান আসাদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে একাধারে সেনা প্রধান ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে। ইতিহাসের এই ঘৃণ্য হত্যাকা-ে জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। খুনি ফারুক-রশিদরা আগে থেকেই জাতির পিতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে, যেটা জিয়া জানতো। জিয়া সেনাছাউনিতে বসে দলছুট রাজনীতিবিদদের নিয়ে বিএনপি গঠন করে। সে যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, তেমনি অবৈধভাবে বিএনপি সৃষ্টি করে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবহার ও সঠিকভাবে রিসাইকেল করার লক্ষ্যে সরকার একটি কার্যকর নীতিমালা গ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান। পরে অংশীজনের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে তা চূড়ান্ত করা হবে। ই-বর্জ্য রিসাইকেলের জন্য প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৫৭৫টি ইউনিটের মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ২৭৪ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি শনাক্ত করে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র (সুবর্ণ নাগরিক কার্ড) প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী প্রতিবন্ধী ১৩ লাখ ১২ হাজার ৫৯৪ জন।
সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে এ পর্যন্ত কল্যাণ অনুদান ও করোনাকালীন আর্থিক সহায়তা হিসেবে সারাদেশে ১৩ হাজার ৫৮২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মধ্যে ৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।