শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের সিচনী গ্রামের যুবক নোমান মাহমুদ হত্যাকা-ের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুফি মিয়াসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা শান্তিগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার (২৪ জুন) রাতে নিহত নোমান মাহমুদের ভাতিজা সিচনী গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আজিজুর রহমান বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রথম আসামি হলেন দরগাপাশা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুফি মিয়া ও দ্বিতীয় আসামি হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর স¤পাদক মো. সেলিম রেজা। এদিকে এই ঘটনায় শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিচনী গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে মঞ্জু মিয়া (২৮), একই গ্রামের মৃত জুবেদ মিয়ার ছেলে আবিদ মিয়া (৪৭) ও আমির আলী (৪৫), আবিদ মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়া (২৪)-কে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৫ মাস পূর্বে ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুফি মিয়ার ইট ভাটার ট্রাক্টর মাটি নিয়ে গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলাচলে ধুলোবালিতে গ্রামের লোকজনদের ভোগান্তি হওয়ায় নোমান মাহমুদ ও সাবেক ইউপি সদস্য জামিল আহমদ পায়েল প্রতিবাদ করেন। পরবর্তীতে সুফি মিয়া ও তার গোষ্ঠীর লোকজন ভিকটিম নোমান মাহমুদসহ তাদের গোষ্ঠীর লোকজনদেরকে মারপিট করে আহত করে। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি আপোষে নি®পত্তি করা হলেও গ্রাম্য বিরোধ বাড়তে থাকে। পূর্ব বিরোধ ও গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২১ জুন সন্ধ্যা ৭টায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুফি মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর স¤পাদক মো. সেলিম রেজাসহ এজাহার নামীয় ২৪ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন বাদীর চাচা ভিকটিম নোমান মাহমুদসহ তার ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য জামিল আহমদ পায়েলকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ভিকটিম নোমান মাহমুদ মারা যান এবং আহত জামিল আহমদ পায়েলকে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (উপ পরিদর্শক) মো. আফতাবউজ্জামান রিগ্যান জানান, মামলা রুজুর পরপরই অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদেরকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন জানান, পলাতক আসামিদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।