সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দেশে মোট নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭০। এরমধ্যে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭০ নিষ্ক্রিয় রয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ময়মনসিংহ-৬ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক সরকারের প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান। ¯িপকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য মতে সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার সিম সক্রিয়। এ হিসেবে দেশে নিবন্ধিত মোবাইল সিমের মধ্যে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭০ নিষ্ক্রিয়। এ হিসেবে মোট সিমের ৪১ দশমিক ৭৮ শতাংশ সিম বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। রাষ্ট্রায়ত্ত একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নিবন্ধিত সিমের ৫৫ শতাংশই নিষ্ক্রিয়।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তথ্য অনুযায়ী গ্রামীণ ফোনের মোটি নিবন্ধিত সিম ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৫টি। এর মধ্যে সক্রিয় ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার। নিষ্ক্রিয় ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৭ হাজার ৯২৫টি। বাংলালিংকের মোট নিবন্ধিত সিম ৯ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি। এর মধ্যে সক্রিয় ৪ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার। নিষ্ক্রিয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬২টি। রবি আজিয়াটার মোট সিম ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার ৮০০টি। সক্রিয় ৫ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার। নিষ্ক্রিয় ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০০টি। টেলিটকের নিবন্ধিত সিম এক কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ২৮৩টি। সক্রিয় ৬৫ লাখ ৫০ হাজার। নিষ্ক্রিয় ৭৯ লাখ ১১ হাজার ২৮৩।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে প্রচলিত কলরেটটি ২০১৮ সালে মার্কেট পর্যালোচনা করে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মার্কেট সংশ্লিষ্ট পর্যালোচনা চলমান রয়েছে। আপতত কলরেট পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে কোনো পূর্ব পরিকল্পনা নেই।
সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের এক প্রশ্নের জবাবে পলক জানান, ২০১৯ সালে বিটিসিএলের গ্রাহকসংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৯২২ জন। বর্তমানে ২০২৪ সারেল ১২ জুন সে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫০ জন। অর্থাৎ বিগত ৫ বছরে বিটিসিএলের গ্রাহকসংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭২ টি।