গত বুধবার (১২ জুন, ২০২৪) দৈনিক সুনামকণ্ঠে একটি সংবাদপ্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে, “অনিরাপদ হয়ে উঠছে শহরের পার্কগুলো”। তারপর বলা হয়েছে, সুনামগঞ্জ শহরে পরিবার ও প্রিয় মানুষদের নিয়ে সময় কাটানোর জন্য সরকারি খরচে তৈরি করা পার্ক দুটিতে সম্প্রতি বখাটে, নেশাখোর ও উশৃঙ্খল যুবকেরা সংঘবদ্ধভাবে গিয়ে নারীদের উত্ত্যক্ত করছে। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলা হয়, গত ৯ জুন বিকেলে মল্লিকপুরের উন্মুক্ত পার্কটিতে হায়েনার মতো তরুণ-তরুণীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল চার বখাটে। এইসব তরুণ-তরুণীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি তাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় মোবাইল, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। বসে গল্প করার দৃশ্য লুকিয়ে ভিডিও করে এবং তৎপর সংঘবদ্ধভাবে গিয়ে নাজেহাল করে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতে কসুর করছে না। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে এই সন্ত্রাসীচক্র এই পার্কটিতে অপকর্ম করেই চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বখাটেদের এইসব উৎপীড়ন, অত্যাচর ও সন্ত্রাসী আচরণ-কর্মকা-ের ঘটনা প্রকাশ পেলে নেটিজেনরা ক্ষুব্ধ হয়ে বখাটে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন এবং বখাটে সন্ত্রাসীদের নাম পরিচয় উন্মোচিত হওয়ার পরও তাদেরকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, তার জন্য উদ্বেগসহ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমতাবস্থায় আমরা কেবল কামনা করতে পারি, এই অত্যাচার ও অপব্যবহারের অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তি চাই।
বিদগ্ধ মহলের ধারণা, আমাদের সমাজটা আসলেই অধঃপতনের চূড়ান্ত সীমা ইতোমধ্যেই অতিক্রম করে নিরাপত্তাহীনতার অতল তলে তলিয়ে যেতে বসেছে। আপাতত সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়া এবং একটুখানি আপেক্ষিক শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে বাস করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর হওয়া উচিত।