স্টাফ রিপোর্টার ::
“এখানে আছে দিগন্ত ছোঁয়া মাঠ / প্রাচীন এক বৃক্ষের বাস। / যে প্রান্তরে নেই কোন জন মানব / শুধুই কারো দীর্ঘশ্বাস।” এটি কবি আশরাফ শাহীনের লেখা পঙক্তিমালা। কবি’র এই ‘দীর্ঘশ্বাস’ শেষ হয়ে গেল। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নির্জনতাপ্রিয় কবি আশরাফ শাহীন। সোমবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি হার্ট ও কিডনিজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্ত্রী, একপুত্র, এক কন্যা রেখে গেছেন। সোমবার বাদ আসর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ আরপিননগর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শহরের হাসননগরের বাসিন্দা কবি আশরাফ শাহীনের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, শাহীন চলে গেল অনন্তলোকের যাত্রায়। ফেসবুকজুড়ে তাঁর চিরবিদায়ের সংবাদ। শাহীনের চলে যাওয়ায় মনটা ভারী, বিষণœ হয়ে আছে। কিছু লিখতেও পারছিনা। ওপারে ভাল থেকো শাহীন। পরম করুণাময় আল্লাহ জান্নাত দান করুন।
কাবেরী চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, কিছু কিছু মৃত্যুর খবর শুনলে মনে হয় জীবনটা কত ছোট। শাহীন ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনা করি।
অ্যাড. আবুল হোসেন লিখেন, কিছু মানুষের চলে যাওয়া বড় বেদনার বড় দুঃখের। শাহীন জান্নাতে ভালো থেকো।
আমিনুল ইসলাম লিখেন, সজ্জন, সদালাপী একজন ভাল মনের মানুষের অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে কষ্ট হয়। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের মেহমান হিসাবে কবুল করেন।
শিপ্রা সামন্ত লিখেন, শাহীনের এভাবে চলে যাওয়াটা সত্যি মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। পরপারে খুব ভালো থেকো শাহীন।
দেবশ্রী সেন টিপ তার ফেসবুক ওয়ালে কবি আশরাফ শাহীনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে লিখেন, মৃত্যু স্বাভাবিক কিন্তু কিছু মানুষের মৃত্যুটা মেনে নেয়া অনেক কষ্টের, অনেক যন্ত্রণার। তোমার সাথে দেখা করবো করবো করে আর দেখাই হলো না শাহীন ভাই। আমাকে আদরের টিপ পাখি বলা মানুষটা হারিয়ে গেলো…।
এদিকে, কবি আশরাফ শাহীনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক, প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, প্রফেসর ন্যাথানায়েল এডউইন ফেয়ারক্রস, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, সাধারণ স¤পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ স¤পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সহ-সভাপতি লেখক সুখেন্দু সেন, কবি ইকবাল কাগজী, যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক নির্মল ভট্টাচার্য্য, দৈনিক সুনামকণ্ঠ স¤পাদক ও প্রকাশক বিজন সেন রায়, অ্যাড. সালেহ আহমদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ স¤পাদক দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী, দৈনিক সুনামগঞ্জের ডাক স¤পাদক ও প্রকাশক, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ, সাধারণ স¤পাদক রওনক বখত, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী, অ্যাড. আইনুল ইসলাম বাবলু, জেলা পরিষদ সদস্য ফৌজি আরা শাম্মী ও সেলিনা বেগম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা, সাধারণ স¤পাদক হোসনা হুদা, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, সৈয়দ তারেক হাসান দাউদ, দেওয়ান সাজাউর রাজা সুমন, গণিউল সালাদীন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ স¤পাদক হিমাদ্রি শেখর ভদ্র, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম আহমদ, জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলন সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, সাধারণ স¤পাদক ওবায়দুল হক মিলন, সাংবাদিক শামস শামীম, মাহমুদুর রহমান তারেক, আকরাম উদ্দিন, আমিনুল হক, আশিকুর রহমান পীর, জেলা খেলাঘরের সাধারণ স¤পাদক রাজু আহমদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিমান কান্তি রায়, সাধারণ স¤পাদক বিমল বণিক, জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাংগঠনিক স¤পাদক শহীদ নুর আহমদ প্রমুখ।