সোমবারের (১০ জুন ২০২৪) দৈনিক সুনামকণ্ঠের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের হাওর ও জলাভূমিগুলো অপার সম্ভাবনার আধার। হাওর ও জলাভূমিগুলো যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আসে এবং এখানকার স¤পদকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যাবে, অর্থনৈতিকভাবে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে, পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে।” এই অভিমতের সঙ্গে আমরা ঐকমত্য প্রকাশ করছি। বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন চাই, আর তা করতে গেলে অবশ্যই হাওরকে অবলম্বন করে উন্নয়নের রূপরেখা এগিয়ে নিতে হবে। অনেকেই মনে করেন, তার কোনও বিকল্প নেই। এটাই সত্যি।
অভিজ্ঞমহলের ধারণা হাওরাঞ্চলের ধান, মাছ ও বনজসম্পদকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে ব্যবহার করাসহ বিকাশ সাধন করলে ধান মৎস্যসম্পদে দেশ সমৃদ্ধ হতে পারে। বিশেষ করে হাওরের মিঠাপানির সুস্বাদু মাছ উৎপাদনে বিশ^সেরা হতে পারে বাংলাদেশ। এতে করে প্রচুর বৈদেশিক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে অপরিকল্পিত বাঁধ দিয়ে, বিল শুকিয়ে মাছ মেরে, জলজ প্রজাতিবিধ্বংসী জাল দিয়ে মাছ মেরে, বনসম্পদ বিনাশ করে হাওরপ্রতিবেশকে বিনাশ করা হচ্ছে তাতে অচিরেই বাংলাদেশের হাওরাঞ্চল একটি জলের মরুভূমিতে পরিণত হবে, হাওরে কোনও জলজীববৈচিত্র্য অবশিষ্ট থাকবে না। এর প্রভাবে হাওরসংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়বে। বিদগ্ধজন মনে করেন, এখনও সময় আছে, যথোপযুক্ত ব্যবস্থা অর্থাৎ বিজ্ঞানসম্মত প্রকল্প পদক্ষেপ নিলে হাওরাঞ্চলের প্রকৃতিকে রক্ষা করা যাবে। আমাদের একটাই দাবি, হাওরকে জলের মরুভূমিতে পরিণত করবেন না।