ধর্মপাশা ও মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
মধ্যনগর উপজেলায় গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমান (৬০) ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সাতজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দাতিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা পরাজিত চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের নিজ বাড়ি সংলগ্ন পুকুরপাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটর সাইকেল প্রতীকে বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়ার ভাতিজা আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমান। মো. আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়া ও সাইদুর রহমান এই দুজনের বাড়ি বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দাতিয়াপাড়া গ্রামে।
বিজয়ী চেয়ারম্যান মো.আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়ার আপন ভাতিজা আজিম মাহমুদ বলেন, আমরা কাউকে হামলা করিনি। সাইদুর রহমানের লোকজন তার ভাতিজা বাছেদ ভুঁইয়ার (২৯) ওপর হামলা চালিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে পরাজিত চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি নিজ বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে কয়েকজন কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছিলেন। এ সময় মো. আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়ার ভাতিজা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। রামদার কোপে সাইদুর রহমান নিজে (৬০),তাঁর ছেলে আরিফুর রহমান ঝিনুক (২৭), আজিজুর রহমান (৫৫),কামাল মিয়া (৪০), হারুণ মিয়া (২৭)সহ সাতজন আহত হয়েছেন।
সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের ওপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটনো হয়েছে।
জানা গেছে, সাইদুর রহমান ও আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়ার পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত বুধবার (৫ জুন) অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে সাইদুর রহমান ও মো. আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়া মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে এই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এর জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।