স্টাফ রিপোর্টার ::
ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, বৌলাই, রক্তি ও যাদুকাটা সীমান্ত নদী দিয়ে নামছে পাহাড়ি ঢলের পানি। এতে প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল। এতে মানুষের ভোগান্তি যেমন বেড়েছে, তেমনি বন্যার শঙ্কা বিরাজ করছে। এদিকে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। এতে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল থেকে সুরমা, কুশিয়ারা, বৌলাই, রক্তি ও যাদুকাটা নদী দিয়ে প্রবল বেগে ভাটির দিকে প্রবাহিত হচ্ছিল। ইতোমধ্যে ঢলের পানিতে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজারসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নি¤œাঞ্চলের রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। দোয়ারাবাজার উপজেলার শরীফপুর গ্রামের প্রধান সড়ক ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সুরমা, লক্ষ্মীপুর, বাংলাবাজারসহ তিন ইউনিয়নের।
এছাড়া বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৈয়ারকান্দা, দুর্গাপুর সড়ক ডুবে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সে কারণে ছোট নৌকা করে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষজন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জের সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। এতে এই জেলায় স্বল্পমেয়াদি একটা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।