স্টাফ রিপোর্টার ::
বিশিষ্ট কবি, সাহিত্য সংগঠক ও লিটল ম্যাগাজিন ‘ভাস্কর’ স¤পাদক পুলিন রায়ের ৫৯ তম জন্মদিন আজ। এ উপলক্ষ্যে সিলেট সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেট নগরীর তালতলাস্থ ছাপাকাননে এক আনন্দআড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। এতে আমন্ত্রিতদের উপস্থিত থাকার জন্য সিলেট সাহিত্য পরিষদের সাধারণ স¤পাদক কবি মো. আলাউদ্দিন তালুকদার অনুরোধ জানিয়েছেন।
পুলিন রায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলাধীন দরবস্ত ইউনিয়নের লক্ষ্মীপ্রসাদ গ্রামে ১৯৬৬ সালের ১ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ললিত মোহন রায় ছিলেন শিক্ষক এবং মাতা প্রফুল্ল বালা রায় ছিলেন একজন গৃহিণী।
পুলিন রায়ের এ পর্যন্ত আটটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে কবিতার পাঁচটি ও গদ্যগ্রন্থ তিনটি। সুপরিচিত সাহিত্য সংগঠক পুলিন রায় সিলেট সাহিত্য পরিষদ, অমিয় সাহিত্য পরিষদ ও লোকচর্যা, সিলেটের সভাপতি। ১৯৯০ সাল থেকে তেত্রিশ বছর যাবৎ পুলিন রায় স¤পাদনা করছেন বাংলা ভাষার স্বনামখ্যাত লিটল ম্যাগাজিন ‘ভাস্কর’। কবি দিলওয়ার সংখ্যা ভাস্কর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে রেফারেন্স পাঠ্যভুক্ত।
পুলিন রায় ইতোমধ্যে ইতোমধ্যে যে সব সম্মাননা/পুরস্কার পেয়েছেন সেগুলো হচ্ছে : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চিহ্ন সম্মাননা’ (২০১১), ‘উৎস লেখক সম্মাননা’, ঢাকা (২০১৫), ‘সমুজ্জ্বল সুবাতাস সম্মাননা’, বান্দরবান (২০১৭) ‘মাকুন্দা সাহিত্য পদক’, সিলেট (২০১৯), ‘কোরাস সাহিত্য সম্মাননা’ মৌলভীবাজার (২০১৯), সমধারা সম্মাননা, ঢাকা (২০১৯), ‘স্বপ্ন কথা’ কলকাতা (২০২৩), ‘¯্রােত সম্মাননা’, আগরতলা (২০২৩) এবং ‘স্বজন সম্মাননা’, কলকাতা (২০২৩)।
তুখোড় জীবনসংগ্রামী পুলিন রায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে বিএ (অনার্স) ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক সিলেটের ডাক-এর স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে সাংবাদিকতা করেন। কিছুদিন সিলেট শহরের শাহ খুররম কলেজে বাংলার শিক্ষক ছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে সরকারের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরত আছেন। বর্তমানে সিলেট নগরীর টিলাগড়স্থ গোপালটিলায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিনি দুই সন্তান অনিমেষ রায় পিয়াস (২৩) ও অনিরুদ্ধ রায় পরাগের (১২) জনক। তাঁর সহধর্মিণী রঞ্জু রানী রায় অবসরপ্রাপ্ত (স্বেচ্ছায়) শিক্ষক।
পুলিন রায় ২০২৩ সালে সিলেট বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ২০১৬ সালে সিলেট জেলার এবং ২০১৯ ও ২০২২ সালে সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন।