সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
পুলিশের সাবেক মহাপরিচালক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের দেশের পাশাপাশি বিদেশেও স¤পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেনজীরের কী পরিমাণ স¤পদ রয়েছে, তা জানতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে ওই সব দেশে তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (২৯ মে) সকালে দুদকের উপপরিচালক হাফিজুর রহমান এ চিঠি পাঠান।
দেশ থেকে অর্থ পাচার ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে বিএফআইইউ। সংস্থাটি ‘এগমন্ট গ্রুপ’ নামের একটি ফোরামের সদস্য। এই ফোরাম বিশ্বের ১৭০টি দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত, যারা অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করে।
দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু দেশের স¤পদই নয়, আমরা বিদেশে থাকা স¤পদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছি। যদি স¤পদ অবৈধ হয় তাহলে আদালত রাষ্ট্রের অনুকূলে তা বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন। এ জন্য অনুসন্ধান পর্যায়ে তার (বেনজীর) স¤পদ ফ্রিজ (জব্দ) করা হয়েছে। কারণ তা না করলে এসব স¤পদ হস্তান্তর হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ স¤পদ অনুসন্ধানে আগামী ৬ জুন এবং ৯ জুন তলব করেছে দুদক। ৬ জুন বেনজীর আহমেদকে এবং ৯ জুন তার স্ত্রী-তিন মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।
গত ২৩ মে বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের স¤পত্তি ও ২৭টি ব্যাংকের ৩৩টি আকাউন্ট জব্দের (ক্রোক) নির্দেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে ২৬ মে একই আদালত তিনি ও তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানের আরও ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর স¤পত্তি জব্দেরও নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে চিঠি দেয় দুদক। এ ছাড়া এফডিআর, সঞ্চয়পত্রসহ স্থাবর-অস্থাবর স¤পদের তথ্য চেয়ে জয়েন্ট স্টক, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরেও চিঠি দেয় সংস্থাটি।