এক জরিপে প্রকাশ, ‘চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ৪৬% মানুষ’। পত্রিকার প্রতিবেদনে (২০ মে ২০২৪) বলা হয়েছে, “দেশের দরিদ্র পরিবারের ২০ শতাংশ মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তারা সরকারি এই স্বাস্থ্যসেবার ২০ শতাংশেরও কম পায়। আর দেশের ৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে কোনো না কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। সম্প্রতি এক মতামত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। গত রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের অবস্থানপত্র’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ, গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট পোভার্টি ও নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনআরডিএস)।”
প্রথমত ঔষধপত্রের দাম বেড়েছে, দ্বিতীয়ত স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি সুবিধা প্রদান এখনও পর্যাপ্ত নয় এবং যে-সুবিধাটুকু দেওয়া হয় তাও দুর্নীতির কারণে মানুষের কাছে ঠিকমত পৌঁছে না, তৃতীয়ত চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে অসাধু যতসব ব্যবসায়ী, দালাল ও চিকিৎসক মিলে চিকিৎসা খরচকে মাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে তোলেছে। বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে তা প্রমাণ করা যায়। এখানে সে-অবকাশ আপাতত নেই। তাছাড়া আছে মুদ্রাস্ফীতির উত্তরোত্তর বৃদ্ধি। মুদ্রাস্ফীতি হলো, মুদ্রার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে ক্রয়ক্ষমতা কমানোর একটি পুঁজিবাদী প্রক্রিয়া, যার প্রকাশ ঘটে জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলার মধ্যে। বিশেষ করে জরুরি ঔষধপত্রসহ চাল-ডাল- তেল-নুন ও মাছ-মাস-সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে সবচেয়ে বেশি। এইভাবে মুদ্রাস্ফীতির একটা বিশেষ সুবিধা হলো, এর ফলে জাতীয় আয়ের পুনর্বণ্টন হয় সম্পদশালী ধনী লোকদের অনুকূলে, অর্থাৎ গরিবরা আরও গরিব আর ধনীরা আরও ধনী হতে থাকে। এমতাবস্থায় বিদগ্ধমহলের ধারণা এই যে, ‘শিক্ষা-চিকিৎসাসহ অন্যান্য চাহিদার নিখরচায় ভোগের অধিকার চাহিলে মুদ্রাস্ফীতির উৎসটিকে বদলাইয়া দিবার জন্য কী করিতে হইবে আগে তাহা বুঝিতে হইবে।’