চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও সঞ্চলন লাইনে ত্রুটি ও ত্রুটিপূর্ণ বিতরণ ব্যবস্থার কারণে প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা। একদিকে যেমন ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ, অপরদিকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। “সুনামগঞ্জ পিডিবি : ধার করা বিদ্যুতে জোড়াতালির সেবা” শীর্ষক সংবাদ গতকাল দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের বরাত দিয়ে বলা হয়, কোনো কারণ ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়। বিদ্যুতের এই ভয়াবহ অবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কখনো গ্রাহকদের যৌক্তিক কিছু বলেননি। টানা বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রাহকরা। এই ভোগান্তি শুধু পিডিবি’র গ্রাহকদেরই নয়; পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ১লাখ ২০হাজার গ্রাহক নিত্য এ ভোগান্তি পোহান। দিনে ও রাতে পিক আওয়ারেও প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকে না।
সুনামগঞ্জ পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় পিডিবি’র চাহিদা প্রায় ১২-১৩ মেগাওয়াট। অপরদিকে পল্লীবিদ্যুতের চাহিদা ২ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রতিদিনই জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। শুধু সঞ্চলন লাইনে ত্রুটি ও ত্রুটিপূর্ণ বিতরণ ব্যবস্থার কারণে গ্রাহকরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ সরকারের বড় একটি সাফল্য হলেও শুধু সঞ্চলন লাইনে ত্রুটি ও দুর্বল ব্যবস্থার কারণে বিদ্যুতের এই ভোগান্তি খুবই দুঃখজনক।
বিদ্যুতের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত। বিদ্যুতের দুরবস্থার ফলে শুধু জনজীবনই অতিষ্ঠ নয়, ব্যবসায়-বাণিজ্যেও শোচনীয় অবস্থা দেখা দেয়।
বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত বা অপ্রতুল যাই হোক, গ্রাহকের ভোগান্তি নিরসন ও অর্থনীতিকে গতিশীল করতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার দ্রুত ও কার্যকর উন্নয়ন চাই।