হাওরাঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক যে ঋণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। এছাড়া একই তহবিলের অধীনে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির জন্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, ওই কর্মসূচির অধীনে কৃষকদের ধান কাটার যন্ত্র কিনতে ঋণ দেবে বিভিন্ন ব্যাংক। কয়েক বছর ধরে হাওর অঞ্চলে ধান উৎপাদনের অনুপাত বেড়ে যাওয়ায় ধান কাটার শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুম এলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। এই ক্ষতি থেকে কৃষকদের রক্ষায় নতুন এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে একশ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। চব্বিশটি ব্যাংক এ তহবিলের টাকা নিয়ে ঋণ দিয়ে থাকে। ঋণ কর্মসূচি হাওর অঞ্চলে মাধ্যমে শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে দেশের সব অঞ্চলেই এ খাতে ঋণ দেয়া হবে। এ ছাড়া একই তহবিলের অধীনে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির জন্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কোনো পরিবার যদি তিনটি গরু পালন করে, তবে সে তার গরুর গোবর দিয়ে ওই পরিবারের পক্ষেই একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট চালু করা সম্ভব। এখান থেকে যে পরিমাণ গ্যাস তৈরি হবে তা দিয়ে ওই পরিবারের নিয়মিত রান্নার কাজ পুরোপুরি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি পাওয়া যাবে জৈব সার। দুটি বিষয়ে ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে একই সঙ্গে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আমরা মনে করি, কৃষিবান্ধব এ সরকারের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে হাওরাঞ্চলের কৃষি ও কৃষক সাবলম্বী হবে। সেই সাথে সরকারও কৃষিখাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করতে পারবে। ইতোমধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য বহির্বিশ্বেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। কৃষির উন্নয়নেও ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। হাওরাঞ্চলের কৃষকের জন্য নতুন এ ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। আমরা সরকারের নেয়া নতুন এ কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।