স্টাফ রিপোর্টার ::
জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিটে প্রতি বছর ‘পুলিশ মেরিয়াল ডে’ পালন করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে র‌্যালি, পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গকে স্বীকৃতি স্মারক ও উপহারসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে নির্মিত অস্থায়ী পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এহসান শাহ, (পিপিএম-সেবা) এবং নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গ। পরে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের সম্মানে সশস্ত্র সালাম প্রদান করে। এ সময় উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাঁদের প্রতি সম্মান জানান।
পরবর্তীতে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলা পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে পুলিশ প্রত্যেকটি ঘটনায় এই দেশমাতৃকার তরে তাঁদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে এবং প্রতিটি পদে পদে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ রাষ্ট্রের একটি অনুকরণীয়, অনুসরণীয় বাহিনী এবং রাষ্ট্রের ক্রান্তিকালে কখনোই বাংলাদেশ পুলিশের কোনো সদস্য পিছু পা হয় না, বিচলিত হয় না। সেই ২৫শে মার্চ কালো রাতে প্রথম প্রতিরোধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর যে অবদান তা অবিস্মরণীয়।
পরে পুলিশ সুপার সুনামগঞ্জ জেলায় বসবাসকারী বিভিন্ন সময় কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যেদের প্রত্যেকের পরিবারবর্গের হাতে স্বীকৃতি স্মারক ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন।
উল্লেখ্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের গ্রেফতারসহ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান ও জনগণের জানমাল রক্ষাকালে বিভিন্ন সময় কর্তব্যরত অবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলায় বসবাসকারী ১১ জন পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করেন।
অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট নিকুলিন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাজন কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাকির হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দিরাই সার্কেল) মো. শহিদুল হক মুন্সী, সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক, সহকারী পুলিশ সুপার (তাহিরপুর সার্কেল) নাসিম উদ্দিন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খালেদ চৌধুরীসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্সগণ এবং কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।