স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের সুরমা নদীর তীরবর্তী গ্রাম মুড়ারবন্দ, রাসনগর ও নৌকাখালী। এই ৩ গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘মুড়ারবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। যে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে এলাকার অনেক শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব অবস্থানে নিজেকে সমাসীন করেছেন। এই বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য নেই রাস্তা, নেই খেলার মাঠ। একটি মাঠ থাকলেও বিদ্যালয়ের এই মাঠটি দখল করে রাখছেন এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ ব্যাপারে সচেতন এলাকাবাসী সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্ব হতেই মুড়ারবন্দ, নৌকাখালী ও রাসনগর গ্রামের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা করতেন সংশ্লিষ্ট ভূমিতে। বর্তমানেও সেটেলমেন্ট জরিপে তপশীল বর্ণিত ভূমি মুড়ারবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু মাঠের চর্তুদিকে একই এলাকার আব্দুল কদ্দুছ, আব্দুল হান্নান, আব্দুল বারিক, সাদিকুর রহমান, জিলানী জাবেদ, আব্দুছ ছোবহান, আসকর আলী, আবুল কালাম বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে মাটি কেটে গর্ত করে ফেলছেন। যার ফলে মাঠটি খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকার লোকজন বাধা দিলে তাদেরকে হুমকি প্রদর্শন করেন ঐসব লোকজন। এহেন পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় বাসিন্দা সুহেল মিয়া, এখলাছ মিয়া, আব্দুছ ছুবহান, আজিজুর রহমান, আলম, সাজিদুর রহমান, গোলাম মস্তফা, আকবর আলী, আজমান আলী, কয়েছ আহমদ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার দুপুরে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা অশ্বিনী কুমার বর্মণ মাঠটি পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুড়ারবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরন কুমার আচার্য্য। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুছ ছুবহান, সার্ভেয়ার আব্দুল কায়ূমসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।
অভিযোগের ব্যাপারে আব্দুল কদ্দুছ বলেন, আমাদের দখলে বিদ্যালয়ের মাঠ থাকলে তা আমরা ছেড়ে দেবো।