স্টাফ রিপোর্টার ::
সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশ থেকে উৎখাত ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ৫৪তম ‘স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উদযাপন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলাবাসী। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ দেশ, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এ সময় জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি পুষ্পস্তবক নিবেদনের মাধ্যমে বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পরে সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। কুচকাওয়াজে ডিসপ্লে প্রদর্শন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্কাউট দল।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহরের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা শিশু একাডেমির আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিজন কুমার সিংহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাব্বির আহমদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী মান্নান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মোমেন, জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. মতিউর রহমান পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. শাহানা রব্বানী।
আলোচনা সভা শেষে জেলা শিশু একাডেমির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন ও দেশাত্মবোধক গান প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। এ সময় জেলা শিশু একাডেমির শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ উপস্থিত ছিলেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মধ্যে শাড়ি, লুঙ্গি ও সম্মানী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমদাদুল হক শরীফ। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাও. তাজুল ইসলাম ও গীতা থেকে পাঠ করেন অমিত চক্রবর্তী। ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।