সামছুল ইসলাম সরদার ::
দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা ছুটছেন হাওরে হাওরে। কারণ, ভোটাররা সব হাওরে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত। দিনে তাদের বাড়িঘরে পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী ৮ মে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইতোমধ্যে মধ্যে প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা এবং গণসংযোগে নেমে পড়েছেন। তাদের কর্মী এবং সমর্থকরাও বসে নেই। প্রার্থীরা লিফলেট হাতে তাদের সমর্থকদের সাথে নিয়ে হাওরে ছুটছেন। গ্রামাঞ্চলসহ চষে বেড়াচ্ছেন ফসলের মাঠে মাঠে। তবে কৃষকদের ব্যস্ততার মাঝে নির্বাচন নিয়ে ভাবার সময় নেই।
চাপতি হাওরপাড়ের কৃষক সুহেল মিয়া বলেন, এক হাল জমিন করছি। অর্ধেক ধান কাটছি। ওই ধান মাড়াদিছি। অনে হুকাইয়া বাড়িত আনছি। বাকি ধান কাইটা মাড়া দিয়া ধান ঘরে আনলেই বাঁচি। অনে ইলেকশন লইয়া মাতার সময় নাই। আজকো কালকো কয়েক জনপ্রার্থীরা আমরার বাড়ি আইছলা। বাড়িত না পাইয়া ধান হুকানোর মাঠো আইয়া ভোট চাইয়া গেছইন। আমি কইছি অনে আমরা ধানের মাঠে, ধানকাটা, মাড়া হুকানি নিয়া ব্যস্ত। কয়েক দিন যাউক পরে ভাইবা দেখমু খারে ভোট দেওয়া যায়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট রিপা সিনহা বলেন, গত পাঁচ বছর দিরাইবাসীর সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে জনগণের কাছে প্রতিদিন যাচ্ছি। এখন বৈশাখ মাস হওয়ায় এলাকার জনগণ ধান কাটা, মাড়াইও শুকাতে ব্যস্ত। আমি ভোটারের বাড়িতে এবং ধানমাড়াই ও শুকানোর মাঠে গিয়ে তাদের কাছে ভোট চাচ্ছি। আমি প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আমি আশাবাদী যেভাবে পাঁচ বছর আগে আমার প্রিয় দিরাইবাসী বিপুল ভোটে আমাকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করছিলেন, এবারও তাদের মূল্যবান ভোট তাদের সেবা করার সুযোগ দান করবেন।
দিরাই উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪২৫ জন ভোটার রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিঠুন মল্লিক বলেন, প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা নির্বাচন আচরণবিধি মেনে প্রচারণা শুরু করেছেন। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা এপর্যন্ত ঘটেনি। প্রশাসন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আসন্ন নির্বাচন স¤পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।