সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়া অধিবাসীদের তালিকার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে এই পথ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যত মানুষ ইউরোপে ঢুকেছে, তার মধ্যে ২১ শতাংশ বাংলাদেশি। এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।
গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকের সাথে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে ওই হোটেলে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন প্রতিবেদন-২০২৪’ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ছে। এ বিষয়ে অ্যামি পোপ বলেন, ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ পাড়ির প্রবণতা ২০১৫ সাল থেকে বেড়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই পথে বাংলাদেশি মারা গেছেন ২৮৩ জন।
তিনি জানান, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বিভিন্ন দেশের ১৬ হাজার ২০০ নাগরিক এই পথ দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক ৩ হাজার ৪২৫ জন।
২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে অনিয়মিত অভিবাসনের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল বাংলাদেশের মানুষ বলে জানান অ্যামি পোপ।
আইওএমের চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ বিষয়ে আইওএমের মহাপরিচালক বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, গত বছর বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর প্রভাব ও সংঘাতের কারণে নতুন বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। এটা চমকে দেওয়ার মতো। তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ এখন জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাস করেন।
এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে মানব পাচারকারীদের প্রতিহত করতে হলে মানুষকে বৈধ অভিবাসনের পথ স¤পর্কে যথাযথভাবে জানাতে হবে বলে উল্লেখ করেন অ্যামি পোপ।