স্টাফ রিপোর্টার ::
দলের সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বহিষ্কৃত হন দিরাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া ও শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার। এবার নির্বাচনে পরাজিত হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব না পেয়ে দু’কূল হারালেন বিএনপির এই দুই নেতা।
দিরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন গোলাপ মিয়া। গোলাপ মিয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৯৭ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী প্রদীপ রায় পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৫২ ভোট।
অপরদিকে, শাল্লা উপজেলায় শক্তিশালী প্রতিপক্ষ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. অবনী মোহনের কাছে প্রায় ৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন শাল্লা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি (বহিষ্কৃত) গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৭ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী
অবনী মোহন পেয়েছেন ২৪ হাজার ৪৩২ ভোট।
দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচন করায় দলীয় নেতাকর্মীদের ভোট বর্জনের কঠোর মনোভাবে এই দুই নেতার পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংশ্লিষ্টরা। দলের শৃঙ্খলার স্বার্থে বাকি নেতৃবৃন্দ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাদের আহমদ বলেন, এই সরকারের সময় কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। তাই বিএনপি ও সমমনা সংগঠন ডামি মার্কা নির্বাচন বর্জন করেছে। যারা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তারা খেসারত দিয়েছেন। আশা করবো অন্যরা এ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করবেন।