1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

গরমে খামারিদের ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
একদিকে মুরগির বাচ্চার সংকট, অন্যদিকে ২৮ থেকে ৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগির বাচ্চা খামারিরা দ্বিগুণ দামে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় ক্রয় করেছে। ঈদের পর থেকে শুরু হওয়া চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকের কারণে সারাদেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিপিএ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে (৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত)। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে।
বিপিএ জানায়, ঈদের পর গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল ব্রয়লার মুরগি এবং ১০-১৫ শতাংশ ছিল লেয়ার মুরগি। এছাড়া সোনালীসহ অন্যান্য মুরগির ০৫ শতাংশ মারা গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২০০ কোটি টাকা। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমে যাবে।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্পোরেট ডিম মুরগি সরবরাহকারী ও তেজগাও ডিম সিন্ডিকেট ডিম ও মুরগির সংকট তৈরি করবে। জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মকভাবে বাড়বে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের উচিত পোল্ট্রি খামারিদের রক্ষা করা। যেমন সরকারের পক্ষ থেকে খামারিদের মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিডে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদনে ধরে রাখতে হবে এবং সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে যাতে করে বাজারে যাতে সংকট সৃষ্টি না হয়। প্রান্তিক খামারিদের কর্পোরেট কো¤পানির জিম্বি দশা থেকে মুক্তি করে ডিম মুরগির উৎপাদন ঠিক রাখতে মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিড বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দিতে দিলে প্রান্তিক খামারিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
বিপিএ’র সারাদেশের খামারিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মুরগির মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি নরসিংদীতে। এ অঞ্চলে গত ১২ দিনে প্রায় ৩ লাখ, ময়মনসিংহ গাজিপুর অঞ্চলে ২ লাখ, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১ লাখ ৭৫ হাজার, সিলেট অঞ্চলে ৫০ হাজার, যশোর ১ লাখ ৫০ হাজার, পাবনা ৫০ হাজার, চুয়াডাঙ্গা ১ লাখ, মুরগি মারা গেছে। কর্পোরেট সিন্ডিকেট তেজগাঁয়ের ডিম সিন্ডিকেট মুরগি সিন্ডিকেট এর কবলে পরে খামারিরা কখনোই ডিম মুরগির ন্যায্য মূল্য পায় না। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে নতুন করে আবারও বন্ধ হয়ে যাবে ১৫ থেকে ২০ হাজার খামার।
বিপিএর পক্ষ থেকে পোল্ট্রি খামারিদের তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- শেডে সঠিক বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা, ধারণ ক্ষমতার মধ্যে কম মুরগি রাখা, পানিতে ভিটামিন-ভিত্তিক জাতিয় ওষুধ ব্যবহার না করা, লেবু এবং আখের গুড় দিয়ে দুপুরে শরবতের ব্যবস্থা করা, মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করা, শেডের ছাদে ভেজা পাটের ব্যাগ রাখা এবং নিয়মিত পানি ঢালা, দুপুরের মুরগিকে খাবার খাওয়ানো যাবে না।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com